বাল্য-বিবাহ বন্ধে জেলা প্রশাসকের নতুন কৌশল
হাসান মাহমুদঃ ”বাল্য-বিবাহ একটি সামাজিক অপরাধ, ১৮ এর আগে বিয়ে নয় ২০ এর আগে সন্তান নয়’’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে নিয়ে গত ৩০ নভেম্বোর ২০১৫ তারিখে মেহেরপুর সদর উপজেলার কনফারেন্স কক্ষে হয়ে গেল ’’বাল্য-বিবাহ নিরোধকল্পে বিবাহ নিবন্ধক,ইমাম ও ধর্মীয় শিক্ষকগণের করনীয়’’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা। উক্ত সভায় প্রধান অথিতি হিসাবে ছিলেন, জনাব মোঃ শফিকুল অইসলাম, জেলা প্রশাসক,মেহেরপুর, বিশেষ অথিতি ছিলেন, জনাব মোঃ হেমায়েত হোসেন,উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার,মেহেরপুর এবং সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ মঈনুল হাসান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেরপুর সদর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মেহেরপুর সদর, বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধর্মীয় শিক্ষক,চেয়ারম্যান,কাজিগণ,এনজিও প্রতিনিধি এবং শিশু প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা এনসিটিএফ কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি, জনাব মোঃ লাল মিয়া,জনাব মোঃ হাসান মাহমুদ, সভাপতি মেহেরপুর সদর উপজেলা,জান্নাতুল ফেরদৌস লাকী,সহ সভাপতি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রতিনিধিদের বাল্য-বিবাহ বন্ধের পরামর্শ/সুপারিশের জন্য মুক্ত আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয়। মুক্ত আলোচনায় কাজী,ইমাম,এনজিও প্রতিনিধি,সরকারি কর্মকর্তা,চেয়ারম্যান এবং শিশুরা সকলে তাদের মুল্যবান মতামত/সুপারিশ/পরামর্শ তুলে ধরেন। যেমন, ওয়ার্ড পর্যায়ে থেকে শুরু করে জেলা পর্যায় পর্যন্ত বাল্য-বিবাহ প্রতিরোধ কমিটি থাকবে, উল্লেক্ষ প্রতিটি কমিটিতে শিশু প্রতিনিধি হিসাবে এনসিটিএফ সদস্যদের অন্তভুক্ত করা হবে। উপস্থিত সকলের একটাই কথা যে কোনো মুল্যে মেহেরপুর জেলাকে বাল্য-বিবাহমুক্ত জেলা হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।
পরিশেষে মাননীয় জেলা প্রশাসক,মেহেরপুর বলেন, ’’বাল্য-বিবাহ বন্ধে আমাদের ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময়ের মত জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। আমি অচিরেই মেহেরপুর জেলাকে বাল্য-বিবাহ মুক্ত করতে চাই এবং প্রতিটি কমিটিকে শফথ বাক্য পাঠ করান হবে। আর আপনারা যদি আমাকে সহযোগিতা করেন, তাহলে আমি আজ থেকে বাল্য-বিবাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করতে চায়। সবশেষে অনুষ্ঠানেরসভাপতি, মেহেরপুর সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের সমাপনি বক্তব্যের মাধ্যমে শীর্ষক কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।







